
মিটফোর্ডের সোহাগ কে হিন্দু দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের!
মিটফোর্ডের সোহাগ কে হিন্দু দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের!
গত ৯ জুলাই ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতাল এলাকায় নির্মম ভাবে খু/ন হওয়া মো: লালচাঁদ মিয়া সোহাগ কে, হিন্দু পরিচয়ে সংবাদ উপস্থাপন করেছে, ভারতের জনপ্রিয় কয়েকটি নিউজ মিডিয়া চ্যানেল । এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে সহ কয়েকটি প্রথম সারির গণমাধ্যম, ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কে ইচ্ছে করেই গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায়, পাথর দিয়ে খুন হওয়া ব্যক্তি একজন হিন্দু। শুধুমাত্র হিন্দু বলে, বাংলাদেশের মুসলমানদের আক্রমণের শিকার হয় ওই হিন্দু ব্যক্তি।
আর এই খবর যে সম্পুর্ণ রুপে ভুয়া তা নিশ্চিত করেছে, গুজব না সত্য, তা খুজে বের করা প্রতিষ্ঠান, রুমোর স্ক্যানার বাংলাদেশ। রুমোর স্ক্যানার বাংলাদেশ তাদের পোস্টে বলেন, মিটফোর্ডে খুনের শিকার হওয়া সোহাগকে এবার হিন্দু বলে দাবি করলো এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডেসহ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম।

Hridoy observer টিমও ভারতের এসব গণমাধ্যমের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে গিয়ে এসব নিউজের সত্যতার প্রমান পেয়েছে । এখনো তাদের পোস্টে এমনইটাই লেখা রয়েছে। এখন কথা হলো ভারতের গণমাধ্যম গুলো কেন? এমন হিন্দু মুসলিম খেলা করে? কেনও বা সবসময় তারা মুসলমানদের বিপক্ষে ও হিন্দুদের হয়ে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। চলুন তা জানি :
বাংলাদেশে সোহাগ হত্যাকান্ড কেন হয়েছে, তা তো বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই জানে। বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ও চাঁদাবাজির জেরে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে।মিটফোর্ডের সোহাগ কে হিন্দু দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের!
আসলে বর্তমানে বিএনপি নির্বাচনের আগেই নিজেদের কে বাংলাদেশের সরকার হিসেবে মনে করছে। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। বিএনপি সবজায়গায় এমন চাঁদাবাজি করে চলেছে। আর এমনটা করার সময়, অনেক জায়গায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ চালাচ্ছে তারা । কিন্তু যেটা ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে। আমরা শুধু সেটাই জানতে পারছি।

এইতো গেলো বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা। কিন্তু এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে, ভারতের প্রথম সারির গণমাধ্যম গুলো ছড়াচ্ছে গুজব। ভারতের বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে বাংলাদেশের মানুষ যেমন দলে দলে ভাগ, যেমন কেউ বিএনপি কেউ আওয়ামী লীগ আবার কেউ জামায়াত ইসলাম করে।
ঠিক তেমন ভারতের রয়েছে হিন্দু মুসলিম ভাগ। যদি কোনো মুসলিম কোনো খারাপ কাজ করে তাহলে ভারতের মিডিয়া বাড়িয়ে চড়িয়ে বলতে থাকে। হিন্দুদের মধ্যে ঘৃণা ছড়াতে থাকে। আর ভারতে যেহেতু হিন্দুদের সংখ্যা বেশি প্রায় ১১২ কোটি। তাই, সেখানে মুসলমানদের বিপক্ষে নিউজ করলেই অনেক টিআরপি পাওয়া যায়।
আর মুলত এই ভিউজের জন্যই মুসলমানদের বিপক্ষে নিউজ করতে থাকে ভারতের মিডিয়া। আর এমনটা করতে করতে এখন এমন পর্যায়ে বিষয়টি চলে গিয়েছে যে, এখন তা তাদের অভ্যাস পরিনত হয়েছে। এখন বড় কোনো ঘটনা ঘটলেই সেখানে হিন্দু মুসলিম আনে ভারতের মিডিয়া। আর তাদের জনগণ এসব খায়ও।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ভারতে মোদি সরকার মুলত হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে । অর্থাৎ ভারতে যেহেতু হিন্দুদের সংখ্যা বেশি তাই হিন্দুদের মধ্যে ঘৃণা ও ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আর এগুলোকে পুজিঁ করেই নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় রয়েছে।
ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার ধ্রুবো রাটির মতে,” ভারতের মিডিয়া মুলত মোদির কন্ট্রোলে চলে। এজন্য ভারতের মিডিয়ার নাম হয়েছে, গোদি মিডিয়া। আর মোদির এই হিন্দু মুসলিম ভাগ কর, শাসন কর নীতি বাস্তবায়ণ করবার জন্যই, মুলত সব অনৈতিক কাজে মুসলমানদের নাম জড়িয়ে দেয় ভারতের মিডিয়া।
যদি কোনো ঘটনা ভাইরাল হয়, আর সেখানে হিন্দু মুসলিম খেলা না করা যায়। তখন তারা ইচ্ছে করেই গুজব ছড়াতে থাকে। যাতে হিন্দুদের কাছে মুসলমানদের খারাপ ভাবে উপস্থাপন করা যায়। আর দুঃখজনক হলেও সত্যি যে,অনেকে তাদের এই মিথ্যা খবর মেনেও নেই। তারা আবার ভারতে অনেক বিখ্যাত। তাদের আলাদা নামও দিয়েছে ভারতেরই জনগণ। তাদের কে “অন্ধভক্ত ” বলে ডাকা হয়।
রুমোর স্ক্যানার বাংলাদেশ, মুলত তাদের পোস্টে, এই সত্য খবরটিই প্রকাশ করেছে। যা Hridoy observer team এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে, সত্যকে খুঁজে বের করে, এবিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
Hridoy Observer – দেশ ও ইসলামের কথা বলে। মিটফোর্ডের সোহাগ কে হিন্দু দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের!