
গাজার ত্রাণে জর্ডানের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য
গাজার ত্রাণে জর্ডানের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য
বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ খাদ্যের অভাবে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। ফিলিস্তিনের একজন শিশু সাংবাদিকদের কাছে তার যুদ্ধ শুরু হবার আগে ও বর্তমানের ছবি দেখিয়েছে। এই দুই ছবির পার্থক্য দেখে বোঝা যায় ফিলিস্তিনে বর্তমানে খাদ্যর সংকট কি পরিমাণে।
এই যখন ফিলিস্তিনের গাজার অবস্থা। তখন গাজার অনাহার আর কঠিন দুর্দশাকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছে জর্ডান। এই টাকা কিভাবে আয় করছে জর্ডান তা জানলে আপনি অবাক হবেন। গাজায় যখন মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে তখন তাদের কাছে ত্রানের ট্রাক যেন রহমত স্বরুপ।
হিকমাহ ও মাহফিল, ইউটিউব ও ফেসবুকের বিকল্প?
কিন্তু জর্ডান কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ত্রাণ পাঠানোর জন্য প্রতি ইয়ারড্রোপে ৪০০,০০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করছে। ইয়ারড্রোপ মানে আকাশ থেকে প্লেনে করে নিচে ত্রাণ প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলা। যদি হিসাব ঠিক থাকে তাহলে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা চার্জ করছে প্রতি ইয়ারড্রোপে

আর ট্রাক প্রতি ২২০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করছে জর্ডান কর্তৃপক্ষ যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার সমান। আর এভাবেই অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের ফুলে ফেপে তুলছে জর্ডান। আর এমন খবর প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় নিউজ মিডিয়ার মধ্যে একটি “মিডল ইস্ট আই”। অর্থাৎ এই খবরটি কোনো গুজব নয় ১০০ শতাংশ সত্য খবর। গাজার ত্রাণে জর্ডানের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য
তাহলে একবার ভাবেন। যখন মুসলিম দেশগুলোর উচিত গাজা বাসির জন্য বেশি বেশি ত্রাণ পাঠানো যাতে আমাদের মুসলিম ভাইরা না খেতে পেরে মারা না যায়। কিন্তু কিছু কিছু মুসলিম দেশ ত্রাণ পাঠানো তো দুরের কথা সুযোগ পেলে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে।
Geepas GRC4334 Electric Rice Cooker
যদি ত্রাণের ওপর এভাবে কর নির্ধারিত করে জর্ডান সরকার তাহলে ধীরে ধীরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো ত্রাণ পাঠানো কুমিয়ে দিতে পারে। ভাবেন যদি এত টাকা জর্ডান কর্তৃপক্ষ চার্জ না করতো তাহলে সেই টাকা দিয়ে আরো কত পরিমাণে খাদ্য ফিলিস্তিনিদের জন্য পাঠানো সম্ভব হত।
আপনি হয়তো ভাবছেন তাহলে জর্ডান দিয়ে ত্রাণ পাঠাচ্ছে কেন? আসলে বাংলাদেশ ও ভারত যেমন পাশাপাশি দেশ তেমন ফিলিস্তিন ও জর্ডান পাশাপাশি অবস্থিত। আর এ এলাকায় জর্ডান সবচেয়ে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করায় এ পথ দিয়ে ত্রাণ পাঠানো বেশি সুবিধাজনক।

আর অন্যদিক দিয়েও ত্রাণ পাঠানো যায় কিন্তু ইজরায়েল বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সেদিক দিয়ে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হয়না। অনেক সময় তারা ত্রাণবাহী ট্রাক বা প্লেন ধ্বংস করে দেয়। বাকি থাকে মিশর তারা তো আরো কঠিন। সবকিছু মিলিয়ে এসবের ফাইদা তুলছে জর্ডান সরকার।
আর আপনি জানলে অবাক হবেন জর্ডানের প্রায় ৯৭.২ শতাংশ জনগণই মুসলিম । আর বাংলাদেশের ৯০.৪ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা।
মুসলিম দেশগুলোর এমন আচারণের জন্য ফিলিস্তিন বাসী না খেয়ে দিন দিন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে। যেসব মুসলিম দেশ গুলো সাহায্য করতে পারবে তারা নিরব ভুমিকা পালন করছে। আর যেসব দেশগুলো সাহায্য করতে সেইভাবে পারবে না তারা কান্নাকাটি করছে।

আর এই তালিকায় সবার আগে বাংলাদেশ রয়েছে। এখন ইন্ডিয়া পাকিস্তান শুরু হয়েছে। বাঙালির কাছে ফিলিস্তিন ইশু ছাইট বেঞ্চে চলে যাবে। কারণ বাঙালি আবেগি জাতি যখন যাদের ওপর আবেগ জন্মাবে তাদের আর দেখে কিডা।
যায়হোক আমরা বাংলাদেশ অস্ত্র দিয়ে তো আর সাহায্য করতে পারবো না। আমাদের উচিত ফিলিস্তিনের অসহায় মুসলমানদের জন্য ত্রাণ পাঠানো আর যাইহোক যেন তারা না খেতে পেরে না মরে।
আর যদি জ সম্পর্কে এই তথ্য বিশ্বাস না হলে আমাদের ওয়েব সাইট Hridoy Observer থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে নিউজ লিংক দেওয়া থাকবে।
আর যদি আমাদের ওয়েব সাইটেই এখন নিউজ পড়ছেন তাহলে এই লেখায় ক্লিক করেন তাহলে সত্য মিথ্যা যাচাই করতে পারবেন।
Hridoy Observer – ইসলামের কথা বলে।গাজার ত্রাণে জর্ডানের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য