
জুয়াড়ি সাকিব আল হাসান। সাকিব আল হাসান আবারও জুয়ার প্রোমোশন করলো। কিন্তু তারপরও সাকিবের ভক্তরা রয়েছে সাকিবের সাথে। কি বলছে তার ভক্তরা চলুন জানা যাক।
বাঙালি তো সবসময় ভুলে যেতে ওস্তাদ। যেই না সাকিবের কুকর্ম বাংলাদেশের জনগণ ভুলে যেতে শুরু করেছে। তখনই সাকিব আল হাসান আবারও জুয়ার প্রোমোশন শুরু করেছে। আর যার মাধ্যমে আবারও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
কেউ কেউ বলছে কয়লা যতও ধোয়া যাক না কেন। কয়লা কালোও থাকে। অনেকে বলছে সাকিবের মতন লোভি আর কেউ নেই। ও টাকার জন্য সবকিছুই করতে পারে। কিন্তু সাকিবের হার্ডকোর ভক্তরা বলছে ভিন্ন কথা তারা সাকিবকে এখনো সাপোর্ট করছে।

এমনকি তাকে বাঁচাতে ফেসবুকে নানা রকম পোস্ট করছে। আর সে পোস্ট দেখে অনেকে রাগান্বিত। পোস্ট গুলো সম্পর্কে অনেকে অনেক রকম কথা বলছে। চলুন সে সব পোস্ট গুলোর মধ্যে একটি ভাইরাল পোস্ট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
দেশের মাটিতে অবসর নেওয়ার জন্য লোকটা দুবাই পর্যন্ত চলে এসেছিলো। কিন্ত আপনারা তারে আসতে দেন নাই । বাংলাদেশ সরকার সাকিব এবং তার স্ত্রীর সব ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান তার নামে মামলা দিয়ে দেশে আসার রাস্তা একরকম বন্ধ করে দিয়েছে।
সব মিলিয়ে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ বলা যায়। বাংলাদেশে কবে আসতে পারবে কিংবা এই জীবনে আসতে পারবে নাকি এটা স্বয়ং সাকিব নিজেও জানে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে সাকিবের চাপ্টার আপনারা ক্লোজ করে দিয়েছেন। তাইলে সাকিবকে নিয়ে এতো মাতামাতি করেন কোন অধিকারে?
সাকিব এখন জুয়ার বিজ্ঞাপন করলো নাকি মদের বিজ্ঞাপন করলো সেটা নিয়ে আপনাদের আর মাথা না ঘামানোটাই শ্রেয়। সে যদি দুইদিন পর নিজেরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক দাবি করে বলে যে আমি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বেটিং এর বিজ্ঞাপন করি তাইলে আপনার কিছু বলার আছে?

বাংলাদেশে সাকিবের চাপ্টার ক্লোজ করে এখন বেটিং এর বিজ্ঞাপনের জন্য সাকিব জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে যাবে এইসব নিয়ে বাঙালির মাতামাতি মানায় না।
আর দিনশেষে যেকোনো স্পোর্টসকে প্রফেশন হিসেবে নিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করাটাই হারাম। হোক সেটা হাশিম আমলা, মুশফিক কিংবা রিয়াদ….আমলা, মুশফিকরা সারাজীবন এতো ধর্ম কর্ম মেনে ক্রিকেট থেকে যেই আয় করছে সবটাই হারাম। ইসলামে যেটা হারাম সেটা হারামই। সুতরাং হারাম খেলার মধ্যে হালাল খুঁজাটা বলদামি ছাড়া কিছুই না।
দেশের লাখো তরুণ Shakib Al Hasan কে ফলো করে অনেকে আবার আইডলও মানে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সাকিবের উচিত ছিলো এইসব জুয়ার সাইট প্রচারণা না করা।
দেশের তরুণরা দেশের সম্পদ তারা বিপথে গেলে দেশের ক্ষতি এটা অন্তত চিন্তা করা উচিত ছিলো।
আমি টাকা পাবো বলেই যে আমাকে সব কিছুর প্রচারণা করতে হবে এমন কিন্তু নয়।
আসলে কি আর বলবো তার রক্তে মিশে আছে জুয়া,, যেটা ছাড়া তার জীবন চলবেই না