
পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়ে ফিলিস্তিনে হামলা
পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়ে ফিলিস্তিনে হামলা ? যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে আবারও ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই অমানবিক হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এমনকি ইসরায়েলের ভেতর থেকেও জনগণ বিক্ষোভ করছে। জাতিসংঘের মহাসচিবসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও এই হামলার কঠোর সমালোচনা করেছে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশ এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অথচ ইসরায়েলের ভেতরেই সাধারণ জনগণ এই আগ্রাসনের প্রতিবাদ করছে। প্রশ্ন হলো, মুসলিম বিশ্ব যদি এভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকে, তাহলে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করবে কে? নেতানিয়াহু কি মুসলিম দেশগুলোর নীরব আহ্বানে কর্ণপাত করবে?
এখন এমন ভয়াবহ দৃশ্য প্রকাশ্যে আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। আশেপাশের মানুষ তাদের কান্না শুনতে পাচ্ছে, কিন্তু কিছুই করতে পারছে না। একবার ভাবুন, যদি আপনার সন্তান, স্ত্রী, বাবা-মা এমন অবস্থার শিকার হতো, আর আপনি তাদের বাঁচানোর জন্য কিছুই করতে না পারতেন—তাহলে কেমন লাগত?

ফিলিস্তিনিরা এখন আকাশে ড্রোন দেখলেই পালিয়ে যায়, কারণ এই ড্রোনগুলোই তাদের ওপর বোমা বর্ষণ করছে। বিশেষ করে সেহরি ও ইফতারের সময় ইসরায়েল হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যেন ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন—”খেলা তো কেবল শুরু”—অর্থাৎ, এই হামলা চলতেই থাকবে যতক্ষণ না তারা পুরো ফিলিস্তিনকে দখল করতে পারে।
বাস্তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ভেবেছিল যে এবার হয়তো কোনো কূটনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা যাবে। কারণ তারা ধারণা করেছিল, ফিলিস্তিনিরা আর প্রতিরোধের শক্তি রাখে না। কিন্তু যখন দেখল যে ফিলিস্তিনিরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখনই তারা আবারও যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে নির্মম হামলা শুরু করল।
দর্শক, আপনার কী মনে হয়? মুসলিম বিশ্ব যদি এভাবে চুপচাপ দেখে, তাহলে কি খুব বেশি সময় লাগবে ইসরায়েল ও আমেরিকার ফিলিস্তিন দখল করতে? তারা কি আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করে নিজেদের টেম্পল নির্মাণ করবে? আর মুসলিম বিশ্ব কি তখনও নীরব দর্শক হয়ে থাকবে?
সময় এসেছে ভাবার, সময় এসেছে জেগে ওঠার। কারণ ইতিহাস বলে, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় না, অন্যায় একসময় তাদের ওপরও নেমে আসে।