
ভারতে মুসলমানদের ওপর হামলা, পাকিস্তানে স্কলারদের হত্য?
ভারতে মুসলমানদের ওপর প্রকাশ্যে .. ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন যেন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি একটি ভয়াবহ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, কিছু উগ্র হিন্দু যুবক প্রকাশ্যে একজন মুসলিম যুবককে নির্মমভাবে মারধর করছে। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্য থেকে একজন আস্ত একটি ইট দিয়ে ওই মুসলিম যুবকের মাথায় আঘাত করে, যা সঙ্গে সঙ্গে তার মাথা থেতলে দেয়। এ ঘটনায় সমগ্র ভারতজুড়ে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে।
মুসলিম হওয়ার ‘অপরাধে’ নির্মম নির্যাতন
এমনই আরেকটি ঘটনায় ভারতের ঝাড়খণ্ডের বোকারোর একটি পেট্রোল পাম্পে তিন মুসলিম কিশোরকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে একজন মাথায় টুপি পরা ছিল। সেটি দেখে উগ্র হিন্দুত্ববাদী কয়েকজন যুবক প্রথমে তার টুপি খুলে নেয় এবং মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর বাকবিতণ্ডার চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা কোনো কথা শুনতে রাজি হয়নি। বরং একপর্যায়ে তিন কিশোরকেই নির্মমভাবে প্রহার করতে থাকে।
হামলাকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকে, “তোদের সবাইকে পাকিস্তানে চলে যেতে হবে, না হলে মেরে ফেলবো!” আরও বলে, “ভারতে টুপি-পাঞ্জাবির কোনো স্থান নেই, এসব পরতে হলে পাকিস্তানে যা। না গেলে এভাবেই মারধর চলবে। দরকার হলে তোদের শেষ করে দেব। কেউ বাঁচাতে আসবে না।”
এমন সাম্প্রদায়িক আক্রমণের ঘটনা ভারতে নতুন কিছু নয়, তবে দিন দিন এর মাত্রা বেড়ে চলেছে। প্রকাশ্যে মুসলিমদের ওপর হামলা, নির্যাতন, এমনকি হত্যা করেও অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা গোটা বিশ্বকে ভাবিয়ে তুলেছে।
পাকিস্তানে ইসলামিক স্কলারদের হত্যার নেপথ্যে কারা?
এদিকে, পাকিস্তানে রহস্যজনকভাবে একের পর এক ইসলামিক স্কলারদের হত্যা করা হচ্ছে। সর্বশেষ টার্গেট হয়েছেন পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ ইসলামিক স্কলার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (জেইউআই) নেতা মুফতি আবদুল বাকি নূরজাই। গত ১৬ মার্চ রবিবার রাতে কোয়েটা বিমানবন্দরে এক অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে তিনি নিহত হন।
ঘটনার পরপরই হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়, আর স্থানীয় পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই হত্যাকাণ্ড নিছক কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। চলতি মাসেই পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন ইসলামিক স্কলারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।ভারতে মুসলমানদের ওপর প্রকাশ্যে
ভারতে মুসলমানদের নির্যাতন ও পাকিস্তানে স্কলার হত্যার যোগসূত্র?
ভারতে মুসলমানদের ওপর লাগাতার হামলা এবং পাকিস্তানে ইসলামিক স্কলারদের টার্গেট করে হত্যা—এই দুটি বিষয়কে আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই।
উপমহাদেশজুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা রয়েছে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা, তাদের নেতৃত্বকে দুর্বল করা, এবং সর্বোপরি মুসলিম সমাজকে দমন করার জন্য একটি শক্তিশালী অপশক্তি কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এসব ঘটনার নেপথ্যে কারা? কারা চাইছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই সহিংসতা অব্যাহত রাখতে?
আপনার মতামত কী?
ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনো পদক্ষেপ নেবে? পাকিস্তানে ইসলামিক স্কলারদের হত্যা বন্ধ করতে দেশটির সরকার কি যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে? এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে উপমহাদেশের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে?
আপনার মতামত জানান মন্তব্যে।ভারতে মুসলমানদের ওপর প্রকাশ্যে