
মুসলিম বিশ্ব কাপুরুষ
মুসলিম বিশ্ব কাপুরুষ? ফিলিস্তিনি নারী!যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ভেঙে ফিলিস্তিনির ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই হামলা চালানোও চরম নিন্দা ও সমালোচনা করছে বিশ্ববাসী। এমনকি ইজরায়েলের জনগনই নিজেদের দেশে আন্দোলন করছে। সাথে জাতি সংঘের মহাসচিব পর্যন্ত এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সাথে আরব নেতারা কাপুরষ। অন্য মুসলিম দেশগুলো আঙুল চুষছে। আসলে বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের সাথে কি হচ্ছে চলুন বিস্তারিত জানি।
যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ভেঙে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ এই হামলায় বিশ্ববাসী সংখীত। কিন্তু আরব নেতারা যারা বিশ্ব মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে তারা নিরব ভুমিকা পালন করছে। বিশেষ করে সৌদি আরব। সৌদি আরব নিজেদের দেশের স্বার্থের জন্য আমেরিকার সাথে হাত মিলিয়েছে। এখন তাদের অবস্থা এমন যে তারা না পারছে গিলতে না পারছে উগরাতে।
এই যখন মুসলিম বিশ্বের নেতাদের অবস্থা তখন এই বিষয়ে একজন ফিলিস্তিনি নারির একটি ভিডিও বার্তা ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ওই নারি বলছেন আমরা এক আল্লাহর ইবাদত করি তাই আল্লাহ আমাদের বিজয় নিশ্চিত করবেন। আমরা কোনো ফিলিস্তিনি নেতা বা আরব নেতাদের ওপর ভরসা করিনা। কারণ তারা কাপুরষ। তাদের ওপর আমাদের কোনো আশাভর্সা পর্যন্ত নেই কারণ তারা কাপুরুষ। তারা নামমাত্র পুরুষ আল্লাহর কসম করে বলছি পুরুষদের সাথে তাদের কোনো সাদৃশ্য নেই কোনো সম্পর্কও নেই।

আসলে ঠিকই বলেছে। দেখেন আজ পৃথিবীর কোনো জায়গায় ভুলক্রমেও হলেও খ্রিষ্টানদের ওপর কেউ অত্যাচার করুক। তাদের বাচানোর জন্য অনেক দেশ আছে। হিন্দুদের ওপর নির্যাতন করলে ভারত আছে। কিন্তু বর্তমানে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করলে কেউই দেখার নেই। মুসলমানদের হয়ে কথা বলার দায়িত্ব আরব নেতাদের কিন্তু তারা এক অজানা কারণে নিরব ভুমিকা পালন করছে।
আর পাকিস্তান আফগানিস্তান তো নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করতেই ব্যস্ত থাকে। পাকিস্তান পরামানিক অস্ত্র ধারি একমাত্র মুসলিম দেশ তারা কিছুই বলতে পারছে না। বলবে কি করে পাকিস্তানের নিজেদের সারা গায়েই ঘা। নিজেদের গায়ে মলম লাগানোর ওষুধ নাই। অন্যদের কি সাহায্য করবে।
আর বাংলাদেশের মুসলমানরা মুখেই বকবক করতে পারে। কাজের বেলাই পৃথিবীর অন্যদেশগুলো বাংলাদেশকে ধরার মধ্যেই রাখে না। কয়েকটি হাতে ঘুনা দেশ যেমন ইরাক ইরান কিছু বললেই তা যথেষ্ট নই।

এখন মুসলমানদের এমনই অবস্থা সম্পুর্ণ আরব দেশগুলো একসাথে হয়েও এর আগে ইজরায়েল কে হারাতে পারিনি। তাই অবশ্যও ওই ফিলিস্তিনি নারি ঠিক বলেছেন। আরবনেতা সহ বিশ্ব মুসলিম নেতারা কাপুরষ। তাদের সাহস নেই। তা নাহলে আজ ফিলিস্তিনের হয়ে কথা বলার কেউ থাকেনা?
ওই নারীর মত আর একজন ফিলিস্তিনি বলছেন। আমরা এই দুনিয়ায় তো কিছু করতে পারলাম না আমরা
কিয়ামতের দিন এই অত্যাচারিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনবো, এমনকি মুসলিমদেরও। আমরা আল্লাহর সামনে তাদের জবাবদিহি করব।
অর্থাৎ তিনি বলতে চাইছেন আমরা এই দুনিয়ায় তো কিছু করতে পারলাম না। কারণ আমাদের শক্তি নেই। যে সব মুসলমান দেশ গুলোর শক্তি ছিলো তারাও আমাদের দিকে হয়নি। আমরা কিয়ামতের দিন তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনবো।
এমনকি এই হামলার প্রতিবাদ ক্ষুদ ইজরায়েলের জনগই জানাচ্ছে কিন্তু অন্য মুসলিম দেশগুলো নই। আর অন্য মুসলিম দেশগুলো এইভাবে নিজেরা আন্দোলন ও প্রতিবাদ করলে হবে না।কারণ আমরা তো আর ইজরায়েলেরজনগন না। তাই আমাদের কথা নেতানিয়াহু শুনবে।
এর আগেও আমরা আন্দোলন করেছি কিন্তু কোনো লাভই হয়নি। বরং রাজনৈতিক দল গুলো এই আন্দোলনকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। তাই আমাদের এমন ভাবে প্রতিবাদ করতে হবে যাতে সত্যিতেই কোনো কাজে আসে।

আর বাংলাদেশের নেতাদের আর কি বলবো ওরা নিজেদের দেশের জনগণেরই সাহায্য করতে পারে। অন্যদেশগুলোর আর কি সাহায্য করবে বরং আরো লুটপাট করে ওই সব অত্যাচারি দেশগুলোতে গিয়েই থাকে। তাদের দেশে আমাদের মানুষের টাকা নিয়ে যায়। তাদের দিয়ে আর কি আশা করবো।
ইজরায়েল পর সবচেয়ে বেশি মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করছে বর্তমানে ভারত। আর আমাদের একটানা শতরো বছরের প্রধানমন্ত্রী জনগণের আম্মু তার দলবল সহ ওই ভারতে গিয়েই বসে আছে। তাহলে তাদের দিয়ে আপনি কি আশা করবেন। যেই ভারত কিনা সরাসরি ইজরায়েলেরকে সাপোর্ট করছে।
এখন তো এমন খবরও বেরিয়ে আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে। ইজরায়েলের বিমান হামলাই মানুষ ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়ে আছে কিন্তু অন্য মানুষ তাদের কথা শুনতে পেলেও তাদের সাহায্য করতে পারছে না। ভাবেন একবার আপনার সন্তান, স্ত্রী, বাবামা যদি এমন অবস্থায় পড়তো আর আপনি কিছুই যদি করতে না পারতেন। তাহলে কেমন লাগতো।
ফিলিস্তিনিরা এখন আকাশে ড্রন দেখলে পালাচ্ছে। কারণ ড্রন দিয়ে নিচে তাদের ওপর বোমা ফেলছে। বিশেষ করে সেহরি এবং ইফতারের সময় বেশি আক্রমণ করছে ইজরায়েল । এমনকি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলছে। খেলা তো কেবল মাত্র শুরু। তারমানে এখনো তারা আক্রমণ চালিয়েই যাবে যতক্ষণ পর্যন্ত না ফিলিস্তিন দখল করতে না পারে।
আসলে আমেরিকা ও ইজরায়েল ভেবেছিলো এবার হওতো চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিন দখল করবে। কারণ তাদের আর শক্তি নেই। কিন্তু যখন তারা হার মানতে নারাজ তখনই যুদ্ধ বিরতি ভেঙে আবারো আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল।
তো দর্শক আপনার কি মনে হয় এ-সব সম্পর্কে। যেভাবে মুসলিম বিশ্ব চুপ করে দেখছে। কদিন পরেই হয়তো মুসলমানদের চোখের সামনে দিয়ে ফিলিস্তিন আমেরিকা ও ইজরায়েল দখল করবে। দখল করে আল আকসা মসজিদ ভেঙে তাদের টেম্পল বানাবে। কিন্তু মুসলিম বিশ্ব কিছু করতে পারবে না।