
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলার আশঙ্কা: নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলার আশঙ্কা: নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি ? ঈদে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা সামনে এলো। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (AA) আসন্ন ঈদুল ফিতরের দিন বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বোমা হামলার পরিকল্পনা করছে।
রোহিঙ্গা সূত্রের দাবি, সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির এক গোপন বৈঠকে এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আর এই হামলার জন্য আরাকান আর্মি রোহিঙ্গা প্রতিরোধ গ্রুপগুলো (যেমন, ARSA) ইত্যাদির উপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা করছে, যাতে আন্তর্জাতিক মহলে তাদের ভাবমূর্তি আরো খারাপ হয় এবং বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য সতর্কবার্তা:

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও এর আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির টহল বাড়ানো জরুরি।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য করণীয়
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দা সংস্থা NSI, DGFI এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলার আশঙ্কা: নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি
ক্যাম্পের সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধ করা। আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরা
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্র:

বর্তমানে বাংলাদেশ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন। একদিকে মিয়ানমার ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলো, অন্যদিকে ভেতরের দেশবিরোধী শক্তিগুলো সক্রিয় রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য ও শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এখন শুধু সময়ের দাবি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং সন্দেহজনক কোনো তথ্য পেলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে।