
হাসিনা ১৭ বছরে পারিনি ইউনুস ৭ মাসে করলো
হাসিনা ১৭ বছরে পারিনি ইউনুস ৭ মাসে করলো – বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে অবশেষে ১ লাখ ৮০ হাজার জনকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার! এটা শুনে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে—শেখ হাসিনার সরকার ১৭ বছরেও যে কাজটা করতে পারেনি, ড. ইউনূসের সরকার মাত্র ৭ মাসে কীভাবে সম্ভব করলো?
সত্যিই কি ডঃ ইউনুস জাদু জানে। নাকি হাসিনা ছিলো অদক্ষ তাই কোনো সমাধানই করতে পারেনি । কিন্তু ডঃ ইউনুসের সেই দক্ষতা আছে কিভাবে কি করতে সে জানে। তাই এতো তাড়াতাড়ি এতো সহজে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের তাদের বাড়ি ফেরত দিতে সক্ষম হলো।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বর অভিযানের মুখে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আর বিভিন্ন সময়ে আশা শরণার্থীদের মিলিয়ে এখন এই সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ছুঁই ছুঁই।
কক্সবাজার শিবিরে আটকে আছে লাখ লাখ মানুষ—যাদের জীবন এখন শুধুই অপেক্ষা আর অনিশ্চয়তার। শেখ হাসিনার সরকার তাদের আশ্রয় দিলেও, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল।
শেখ হাসিনার আমলে কয়েকবার চেষ্টা হয়েছিলো রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর। ২০১৮ আর ২০১৯ সালে দুটো বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়, কিন্তু মিয়ানমার প্রতিবারই তালবাহানা করতে থাকে। হাসিনাকে গুনতির মধ্যেই রাখতো না মিয়ানমার।

হাসিনা, জাতিসংঘ, ওআইসি, এমনকি চীনের সঙ্গে আলোচনা করে কিন্তু কোনো ফলফলাই আনতে পারিনি। কোনো দেশেই হাসিনাকে গুনতো না। কারণ তারা জানে যে হাসিনা ভারত ছাড়া সিদ্ধান্ত নিবে না।
অন্যদিকে, রোহিঙ্গারা নিজেরাও ফিরতে চায়নি—কারণ মিয়ানমার তাদের নাগরিকত্ব দিতে রাজি ছিল না। ফলে, ৭ বছরে এই সংকট সমাধানের কোনো আলো দেখা যায়নি
Visit Our YOUTUBE CHANNEL FOR MORE INFORMATION
কিন্তু এবার দৃশ্যপট বদলেছে! ২০২৫ সালের এপ্রিলে, BIMSTEC সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর মিয়ানমার ঘোষণা দেয়—তারা প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিবে ।
এখন এই খবর শুনে অনেকেই অবাক! হাসিনা ১৭ বছরেও পারলো না। ইউনুস সরকার কিভাবে ৭ মাসেই করে দেখালো। এটা কি কেবল কাকতালীয়? নাকি ড. ইউনূস সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের ফল

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ড. ইউনূস সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছে। চীন, ভারত ও থাইল্যান্ডকে পাশে রেখে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশের হাসিনা সরকার যেমন ভারতের অনুমতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিতো না। ঠিক মিয়ানমারও চীন ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেই না।
এখন বাংলাদেশ ভারতের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন ভাবে ভাবতে শুরু করেছে। এজন্য চীন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ভালো করতে চাইছে। আর এখন চীন সফর থেকেই ব্যাংকক এ যোগ দিয়েছেন। তাই বলাই যায় চীনের সাথে সক্ষতাই রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের মুল বিষয়।
ক্রুসেডের ছায়ায় বর্তমান বিশ্ব
এছাড়াও, রোহিঙ্গা শিবিরে নতুন নীতিমালা চালু করা হয়েছে, যা তাদের মানসিকতা বদলাতে সাহায্য করেছে। ফলে, ১৭ বছরে যা হয়নি, সেটা মাত্র ৭ মাসেই সম্ভব করেছে ইউনুস সরকার। হাসিনা ১৭ বছরে পারিনি ইউনুস ৭ মাসে করলো
আর বলতেই হবে ডঃ ইউনুস বুদ্ধিমত্তার সাথে খেলেছে। আর বাংলাদেশের মানুষ তার এই কুটনৈতিক চাল কে অনেক প্রসংসায় ভাসাচ্ছ। অনেকে তো বলছে এই সরকার যেন দীর্ঘ মেয়াদে থাকুক। ডঃ ইউনুস যদি দেশ পরিচালনা করে তাহলে বাংলাদেশ অতি শিগগিরই অনেক এগিয়ে যাবে।

তবে এখানেই শেষ নয়। এখনো বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা কি সত্যিই নিরাপদে ফিরতে পারবে? কারণ রাখাইনে এখনো অস্থিরতা রয়েছে, আর নাগরিকত্বের বিষয়টিও ঝুলে আছে।
এটা কি সত্যিই একটা টেকসই সমাধান, নাকি আবারও রাজনৈতিক এক চমক? এই প্রত্যাবাসন সফল হলে বাংলাদেশের ওপর চাপ কমবে, কিন্তু এর জন্য মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি পালন আর আন্তর্জাতিক তদারকি জরুরি
তো, আপনার মতামত কী? ড. ইউনূস সরকারের এই সাফল্য কি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে? নাকি এখনো তার অনেক চমক দেখার বাকি আছে। নিচে কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান। হাসিনা ১৭ বছরে পারিনি ইউনুস ৭ মাসে করলো