
গাজা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আজহারীর নির্দেশনা। ফিলিস্তিনে ইসরায়েল আগ্রাশনের প্রতিবাদে ১২ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। আর এই সমাবেশে যারা অংশগ্রহণ করবে। তাদের জন্য ৫ টি নির্দেশনা দিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী।
এর আগে বিভিন্ন আন্দোলনে কিছু অপৃতিকর ঘটনা ঘটেছে। এসব যেন না হয় সে তিনি কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। নিচে তার নির্দেশনা হুবুহু তিনি যেমনটি বলেছেন তি তুলে ধরা হল:
সকল শ্রেণী-পেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করতে চাই।গাজা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আজহারীর নির্দেশনা
১. সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব—এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হব।
২. আসার পথ কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব। পানি, ছাতা, মাস্ক-সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখব। মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব।

৩। যেকোন পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
৪। শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব। গাজা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আজহারীর নির্দেশনা
৫। জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব। দুষ্কৃতিকারীদেরকে প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।
চলুন সবাই মিলে এই আন্দোলন সফল করি। আমাদের ফিলিস্তিন মুসলমান ভাইদের জন্য দোয়া করি।