
বাংলাদেশের ১০ কি.মি ভেতরে আরাকান আর্মির উৎসব!
বাংলাদেশের ১০ কি.মি ভেতরে আরাকান আর্মির উৎসব! বাংলাদেশের ১০ কি.মি. ভেতরে এসে জলকেলি উৎসব পালন করছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি! এত সাহস তারা কিভাবে পায়। এমনকি সেখানে বিজিবি সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কিছুই করেনি। আবার এক বাংলাদেশী যুবক কে ধরে নিয়ে গিয়েছে আরকান আর্মি। আজ ১০ দিন অতিবাহিত হবার পরেও মিলেনি খোঁজ।
ভারতের পর এবার বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি।রোহিঙ্গারা মুসলিম হওয়ায় বাংলাদেশের অনেকে জনগনই মনে করতেন আরাকান আর্মি হওতো মুসলিম। কিন্তু না এই আরাকান আর্মিদের প্রধান ধর্ম হলো বৌদ্ধ ধর্ম। এরা চাই আরকান ও বাংলাদেশের কিছু অংশ মিলে একটি নতুন দেশ তৈরি করতে।
আর তাদের এই দেশ যাতে তৈরি হতে পারে এজন্য আমেরিকা ও চীন পাল্লপাল্লি দিয়ে কাজ করছে। কারা এই দেশের কন্ট্রোল নিতে পারে। কিন্তু বর্তমানে আমেরিকার পাল্লাই বেশি ভারি। বিভিন্ন মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকা চাই এখানে একটি নতুন খ্রিষ্টান প্রধান দেশ তৈরি করতে।
হিকমাহ ও মাহফিল, ইউটিউব ও ফেসবুকের বিকল্প?

যাই হোক না কেন? ক্ষতি বাংলাদেশেরই হবে যদি বাংলাদেশের কিছু অংশ ভেঙে যাই। আর বাংলাদেশের কিছু অংশ যে আরাকান আর্মি তাদের দেশের অংশ হিসেবে চাই তার প্রমান হল বাংলাদেশের ১০ কিমি ভেতরে এসে তাদের উৎস পালন করা।বাংলাদেশের ১০ কি.মি ভেতরে আরাকান আর্মির উৎসব!
তারা এসব এলাকায় তাদের উপস্থিত বাড়াচ্ছে। পাহাড়ি এলাকার মানুষদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। যাতে তারা আরাকান আর্মিদের হয়ে কাজ করে। এরই অংশ হিসেবে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের রেমাক্রি মুখ এলাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির সদস্যরা জলকেলি উৎসব পালন করেছে।
আর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে পার্বত্য খবর। এই অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন, ইউএলএ কমান্ডার লাভ্রের (স্থানীয় নাম কুখাই রাখাইন) ইউএলএ লিডার মংথুইহ্লা মারমা, আরাকান আর্মির সক্রিয় সদস্য, লেফটেন্যান্ট জোকা, ক্যাপ্টেন ক্যজো রাখাইন, ক্যাপ্টেন ভোলং রাখাইন প্রমুখ।

কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো সেখানে বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভুমিকা পালন করে। যেখানে আরাকান আর্মিদের লোকজন, পতাকা ইত্যাদি প্রমাণ রয়েছে তারপরও কেন বাংলাদেশের বিজিবি কিছু বললেন না। সত্যিই কি এই ঘটনা বর্তমানে স্বাভাবিক নাকি উপর মহল থেকে কোনো অ্যাকশন নিতে বিজিবি সদস্যদের কেউ নিষেধ করছে।
বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান:৫৪ বছর পর কে এগিয়ে?
আমরা সবসময় শুনে অভ্যস্থ যে বিএসএফ বাংলাদেশীদের ধরে ভারতে নিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আরাকান আর্মি পর্যন্ত এই একই কাজ করছে। একটি নিউজ সামনে আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে,বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি, ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো মেলেনি কোন খোঁজ!
ঘটনাটি ঘটেছে, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী মায়ানমার সীমান্ত এলাকায়। এখান থেকে গত ১০ এপ্রিল মুফিজুর রহমান নামে ২৭ বছরের এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। বাংলাদেশের ১০ কি.মি ভেতরে আরাকান আর্মির উৎসব!

অপহরণের ১০ দিন কেটে গেলেও, এখনো তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে আরাকান আর্মির আতঙ্কে দিন কাটছে বাংলাদেশি বাসিন্দাদের।
এসব দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। বাংলাদেশের সামরিক শক্তি এতটাও কম নই যে, সামান্য আরাকান আর্মি বাংলাদেশ দখল করবে। আসলে বাংলাদেশের প্রসাশনে এমন কেউ আছে যার কারণেই বা তার অবহেলাই অথবা হতে পারে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এমনটা করছে। তা নাহলে কিভাবে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের ১০ কিমি ভেতরে এসে আনন্দের সাথে উৎসব পালন করতে পারে।
এবিষয়ে আপনার মতামত কি তা অবশ্য কমেন্ট করে জানান। সত্যিই কি আরাকান আর্মি বাংলাদেশের কিছু অংশের দখল নিতে পারবে? নাকি এ নিয়ে চলছে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের ১০ কি.মি ভেতরে আরাকান আর্মির উৎসব!
Hridoy Observer – দেশের কথা বলে। Click YouTube