
১৯ বছরের সাংবাদিক মুয়ামিনকে শহীদ করেছে ইসরাইল
১৯ বছরের সাংবাদিক মুয়ামিনকে শহীদ করেছে ইসরাইল
গাযা সিটি, ১০ জুন ২০২৫ (স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৪১ PM)
সোমবার রাতে গাযা শহরের আল-তুফাহ এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর দ্বিতীয় দফা বোমা হামলায় ১৯ বছর বয়সী ফিলিস্তিনী সাংবাদিক মুয়ামিন আবু আল-আউফ ও তিনজন প্যারামেডিক শহীদ হয়েছেন। মুয়ামিন ওই সময় প্রথম বিস্ফোরণের পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ঢুকে ঘটনাস্থলের চিত্র ধারণ করছিলেন।
এই বর্বর হামলাটি গাযায় সাংবাদিকদের উপর চলমান নিপীড়নের আরও একটি নির্মম অধ্যায় হিসেবে বিশ্ব বিবেকের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে।
ঘটনা বিশ্লেষণ: ১৯ বছরের সাংবাদিক মুয়ামিনকে শহীদ করেছে ইসরাইল।
স্থানীয় সূত্র ও ডিওএএম বাংলার তথ্যমতে, ইসরাইলি বাহিনী প্রথমে আল-তুফাহ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলা চালায়। কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিক মুয়ামিন ও তিনজন প্যারামেডিক সেখানে প্রবেশ করেন। মুয়ামিন প্রেস ভেস্ট পরিহিত অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার তৎপরতা ও হামলার প্রমাণ ভিডিওতে ধারণ করছিলেন। ঠিক সেই সময় ইসরাইল দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায়, মুহূর্তেই প্রাণ হারান মুয়ামিন ও তার পাশে থাকা প্যারামেডিকরা।
গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের খাবারের জন্য হাহাকার
সাহসিকতা ও পেশাগত নিষ্ঠায় মুয়ামিন ছিলেন গাযার তরুণ সাংবাদিকদের অন্যতম প্রতিভাবান প্রতিনিধি। যুদ্ধের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ:
কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ) গত সেপ্টেম্বরে জানায়, ইসরাইল-গাযা যুদ্ধের শুরু থেকে অন্তত ১১৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১১১ জনই ফিলিস্তিনী। গাযার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, এই সংখ্যা ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বেড়ে ২০২ জনে পৌঁছেছে।
এই যুদ্ধ সাংবাদিকদের জন্য আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। ২০২২ সালে অ্যাল জাজিরার সিনিয়র সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর হত্যার মতো মুয়ামিনের ঘটনাও প্রমাণ করে যে, সাংবাদিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন—even with a clearly marked press vest.
নাটকে প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী ভাগওয়া লাভ ট্র্যাপ প্রমোট

এই ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
গাযার মানবিক সংকট:
আল-তুফাহ গাযা সিটির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, যেখানে আল-কুদস হাসপাতালে বর্তমানে ৮,০০০-এরও বেশি উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু ওই হাসপাতালসহ আশেপাশের এলাকাও নিয়মিত হামলার শিকার হচ্ছে। চিকিৎসাসেবা ও বেসামরিক অবকাঠামো একের পর এক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
‘ডাক্তারস উইথাউট বর্ডার্স’-এর মতে, এই যুদ্ধের কারণে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, যার ফলে পোলিওসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ ফিরে আসছে।

প্রতিক্রিয়া ও দাবি:
ডিওএএম বাংলা মুয়ামিনের শাহাদাত কবুলের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
Kiam Die Casting 28cm Non stick Deep Fry Pan
প্যালেস্টাইন অথরিটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা মে মাসে বিবিসিকে বলেন, “গাযার পরিস্থিতি এখন একটি মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে।”
মুয়ামিন আবু আল-আউফের মৃত্যু কেবল একজন সাংবাদিকের মৃত্যু নয়, এটি সত্য প্রকাশের কণ্ঠস্বরের ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি ছিলেন সাহস, আদর্শ ও মানবতার প্রতীক। তার দৃঢ়তা গাযার প্রতিটি সাংবাদিকের কাছে এক চিরন্তন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
Fifine K420 Webcam 1440P, 2K Web Camera With Privacy Cover & Tripod
তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আর কত দিন নীরব থাকবে? আর কত কণ্ঠ রক্তাক্ত হলে বন্ধ হবে এই নির্যাতন? ১৯ বছরের সাংবাদিক মুয়ামিনকে শহীদ করেছে ইসরাইল।
Source :
(বিঃদ্রঃ এই প্রতিবেদন ডিওএএম বাংলা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।)