
আল-আকসা ও ইব্রাহিমি মসজিদে তালা!
আল-আকসা ও ইব্রাহিমি মসজিদে তালা!
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গতকাল শুক্রবার ফজরের নামাজ থেকে শুরু করে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের পর মুসলিম সম্প্রদায়ে গভীর আক্ষেপ ও আক্রশের সৃষ্টি হয়েছে।
ফিলিস্তিনের রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রি এই পদক্ষেপকে কঠোরভাবে নিন্দা করেছে এবং এটিকে মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলি ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড’-এর নির্দেশে আল-আকসা মসজিদের সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পবিত্র স্থানটি মক্কা, মদিনার পর ইসলামের তৃতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। যেখানে মুসল্লিরা জুমুআর নামাজ পড়তে অক্ষম হয়েছেন। আল-আকসা ও ইব্রাহিমি মসজিদে তালা!

খবরের সোর্স অনুসারে , এই মসজিদ বন্ধ হবার কারণ ইসরায়েলের ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে আবার এই ইরান – ইজরায়েল যুদ্ধের কারণে,ফিলিস্তিনের পশ্চিম উপকূলে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যাতে এই যুদ্ধের জন্য সাধারণ ফিলিস্তিনি জণগণ সুরক্ষিত থাকে।
গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের খাবারের জন্য হাহাকার
ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা আনুন বাজবাজ জানিয়েছেন, ইসরায়েল এই সুযোগটি ব্যবহার করে আল-আকসা মসজিদের উপর আরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইতে পারে। যা ইতিমধ্যে তারা করতেও শুরু করেছে।
আল-আকসা মসজিদ ও ইব্রাহিমি মসজিদ দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ১৯৯৪ সালে হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে একজন ইসরায়েলি বসতিবাসী বারুক গোল্ডস্টাইনের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এই স্থানটি সামরিক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

এই ঘটনায় ৫০ জন ফিলিস্তিনী শহীদ হয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে মসজিদটি বিভক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। এখন মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য বহুস্তরীয় সন্দেহভাজন ধাপ অথবা সেকুরিটি ধাপ অনুসন্ধান পার করতে হয়, যা ধর্মীয় স্থানটির পবিত্রতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
আন্তর্জাতিক আইনে পূর্ব যেরুজালেমকে আক্রান্ত অঞ্চল হিসেবে গণ্য করা হয়, এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ধরনের বন্ধনীকে সামূহিক শাস্তি ও রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
নাটকে প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী ভাগওয়া লাভ ট্র্যাপ প্রমোট
গতকাল জুমুআর নামাজে অংশ নিতে ব্যর্থতার পর মুসলিম সমাজে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
DOAM বাংলা-র একটি পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন পবিত্র আল-আকসা মসজিদ এবং হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল।” আল-আকসা ও ইব্রাহিমি মসজিদে তালা!
এই ঘটনা ঘটার সময় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত ও গাজা যুদ্ধের পটভূমিকায় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। NPR-এর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ফিলিস্তিনী নারীদের একটি গোষ্ঠী ‘মুরাবিতাত’ আল-আকসার সংরক্ষণে কাজ করছে, তবে গত অক্টোবর থেকে অনেকে ইসরায়েলি পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় আটক হয়েছেন।
১৯ বছরের সাংবাদিক মুয়ামিনকে শহীদ করেছে ইসরাইল
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও বন্ধের নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করেনি। তবে ২০১৭ সালে একটি অনুরূপ বন্ধনী বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে একদিনের মধ্যে প্রত্যাহৃত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক চাপ ও ফিলিস্তিনী প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এইবারও পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে।
এই ঘটনা মুসলিম জগতের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় এবং এর ফলে আগামী দিনে এলাকায় আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Source; Doam bangla,BBc News