শান্তিতে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারছে না
পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাংলাদেশের মানুষ তো অনেক খুশিতে খুশিতে তারাবির নামাজ আদায় করছে। এক উৎসব মুখর আয়োজনে রোমজান মাস পালন করছি আমরা। কিন্তু ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটছে ভারতে।ভারতে আমাদের মুসলমান ভাইরা শান্তিতে রোজা রাখতে পারছে না। শান্তিতে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারছে না। এমনকি কোনো কোনো জায়গায় জুমআর নামাজ তাই শান্তিতে পড়তে পারছে না। শান্তিতে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারছে না
আজকে ভারতে একটি লজ্জা জনক ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে তারাবির নামাজের সময় উগ্র হিন্দুত্ব বাদীরা ইচ্ছে করে বক্স মাইক, dj দিয়ে গান বাজাচ্ছে। যাতে মুসলমানরা তারাবির নামাজ পড়তে না পারে। তারা নামাজে মনোযোগ দিতে না পারে। ইচ্ছে করে মাইকের মুখ মসজিদের দিকে দেওয়া হচ্ছে। অত্যাচারের সীমা লঙ্ঘন করছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
এসময় মুসলমানরা প্রতিবাদ করে। কিন্তু প্রতিবাদ করাই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা রেগে যায়। আসলে তাদের দেখে মনে হচ্ছিলো তারা এটাই চাচ্ছিলো। একপর্যায়ে তারা মসজিদের গেট ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু গেট না ভাঙায়। গাছের গুড়ি সদৃশ লম্বা একটি বস্তু দিয়ে মসজিদের গেট ভেঙে ফেলে। সাথে তারা হিন্দুদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
আশ্চর্যজনক বিষয় হল এগুলো প্রতিরোধ করবার দায়িত্ব থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর কিন্তু তারা নিজেরা উপস্থিত থেকে এসব ঘটনা ঘটতে সাহায্য করছে। এমনিতে তো তারা এসব বন্ধ করবার কথা বলছে। কিন্তু তাদের সামনে সবকিছু হয়ে গেলো কিন্তু তারা নিরব ভুমিকা পালন করেছে।
এদিকে যেদিন ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জেতে। সেদিন ভারতে বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করতে দেখা যায়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে কিছু চরম হিন্দুত্ব বাদীরা ইচ্ছে করে লোকজন জোগাড় করে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়বার সময়। মসজিদের গেটের সামনে এসে গানবাজনা, পটকা ফুটিয়ে তারাবির নামাজের সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করে। শান্তিতে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারছে না
আজ শুক্রবার মুসলমানদের জুমআর দিন। কিন্তু আজকে হিন্দুদের একটি পবিত্র উৎসব হলি একই দিনে হওয়ায় ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় হলির রঙ মসজিদে লেগে যাবে বলে সম্পুর্ণ মসজিদ কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছে। তাছাড়াও এই হলির দিনে রাস্তায় যেই আসুক তাকেই রঙ দেওয়া হয়।
এমন অবস্থায় ভারতের অনেক জায়গা থেকে নানা খবর বেরিয়ে আসছে। যেখানে শোনা যাচ্ছে মুসল্লীরা নামাজ পড়তে যাবার সময় তাদের গায়ে হলির রঙ দেওয়া হচ্ছে। অনেক জায়গায় ইচ্ছে করেই মসজিদের সামনে এসে সবাই হলি খেলছে যাতে জুমআর নামাজ পড়তে না পারে।
