
গরুর মাংসের বিরিয়ানি খাবার জন্য পিটালো।
গরুর মাংসের বিরিয়ানি খাবার জন্য পিটালো । ভারতে গরুর মাংসের বিরিয়ানি কেনায় দুই যুবক কে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পিটালেন। শুধু তাই নয় তাদের আবার পুলিশ এসেও গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। না আমি কোনো গল্প বলছি না। বর্তমানে ভারতে ঠিক এমনটিই হচ্ছে। আবার গরু পরিবহন করায় ড্রাইভারকে মারধর করলেন উগ্রহিন্তত্ববাদীরা। এখন আপনি হওতো ভাবছেন। ভারতে মুসলমানদের সাথে এ কেমন অন্যায় হচ্ছে।
গরুর মাংস খাবার জন্য মুসলমানদের গ্রেপ্তার করছে। যদি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে ভারতের মুসলমানদের কথা বাদ দেন। একবার নিজেদের দেশের দিকে নজর দিন। বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটে ইফতার মাহফিলে গরুর মাংস ক্ষেতে দিবে না। বলছে গরুর মাংস নাকি বিতর্কিত খাবার। ওপর থেকে নাকি নিষেধ আছে। বাংলাদেশে গুরুর মাংস খাওয়ার জন্য ওপর থেকে কারা নিষিদ্ধ করছে। চলুন এসব প্রশ্নের উত্তর দিবো আজকের প্রদিবেদনে।
প্রথমে বলি ভারতের অবস্থা সম্পর্কে। গরু পরিবহনের অভিযোগে দুই মুসলিম গাড়ি চালককে হিন্দুত্ববাদীরা আক্রমণ করেছে। গাড়ির ছিটে ফেলে মারধর করেছে। অপরাধ তাদের একটাই, তারা গরু ট্রাকে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলো
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়।
আর এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে হিন্দুত্ববাদী বজরং দল এবং গো-রক্ষক দলের সদস্যরা। এসময় দুজনকে পিটিয়ে❝গরু আমাদের মা, গোরক্ষকরা আমাদের বাপ❞ এই কথা বলতে ওই দুই মুসলিম ড্রাইভারকে বাধ্য করে এই কথিত গোরক্ষকেরা।
তাদের মতে তাদের মা হলো গরু। আর তাদের বাপ??? এই কথার কোনো লজিক আছে। গরু ওদের মা হয় কোন লজিকে। ভারতে কি মেয়ের অভাব হয়েছিলো নাকি।

যাইহোক এইতো গেলো গরু পরিবহনের জন্য হেনস্তা সম্পর্কে আর এদিকে ভারতের ওড়িশার জাজপুরে গরুর মাংসের বিরিয়ানি কেনার অপরাধে দুই মুসলিম যুবককে পিটিয়েছে এই গোরক্ষক নামে গেরুয়া বাহিনি। পিটিয়ে তাদের পুলিশের কাছে দিয়ে দেয়।
আর ভারতে এসব করছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন। তাদের থাবা বাংলাদেশও পড়েছে। হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় এসব সামনে আসেনি কিন্তু এখন আসছে। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন এখনো ভারতের এসব গেরুয়া বাহিনীর শক্তির জন্য বাংলাদেশের মতন মুসলিম প্রধান দেশে এমরকি ইফতারের সময় গুরুর মাংস খেতে দিচ্ছে না।
হ্যা আর এমনই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটে ইফতার মাহফিলে। সেখানে ইফতারের মেন্যুতে রাখা গরুর মাংসকে বিতর্কিত খাবার আখ্যা দিয়ে আপত্তি জানানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে হিন্দু শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, ❝প্রতি বছরের ন্যায় আমরা এবারও একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিই। যেহেতু এরআগে আমাদের প্রিন্সিপাল হিন্দু ছিল, সেজন্য আমরা গরুর মাংস খেতে পারি নি।
কারণ তিনি গরুর মাংস একেবারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ করে।কিন্তু এবার তিনি নেই।তাই আমরা এবার গরুর মাংস মেন্যুতে রাখার জন্য অনুরোধ জানাই। কিন্তু গরুর মাংসকে বিতর্কিত খাবার আখ্যা দিয়ে আমাদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে এখনো
বাংলাদেশের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশেও গরুর মাংস খেতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, এমন ঘটনা আমাদের সামনে আসার পর আর বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে, দু দিন পর এদেশেও ভারতের মতো গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে মুসলিমদের নিধন শুরু হবে

শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলে গুরুর মাংস কি হারাম খাবার নাকি গুরুর মাংস খাওয়া বাংলাদেশের সংবিধানে নিষিদ্ধ যে আমরা খেতে পারবো না। শিক্ষার্থীরা বলেন কর্তৃপক্ষ বলছে ওপর থেকে আমাদেরকে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করতে বলা হয়েছে কিন্তু ওপরে কারা আছে। যারা আমাদের বাংলাদেশের মতন মুসলিম প্রধান দেশে গুরুর মাংস দিয়ে ইফতার করতে দিতে দিচ্ছে না।
এদ্বারা প্রমাণ হয় বাংলাদেশ থেকে হাসিনা পালালেও ভারতের নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাদেশের প্রশাসন এখনো মুক্ত হতে পারেনি।
Hridoy Observer – ইসলামের কথা বলে